বাঁশের নল নয়, পেনড্রাইভ!



পেনড্রাইভের আকার ও আকৃতি অল্প সময়ে এত ঘন ঘন বদলেছে যে এর নকশায় আর কোনো কিছু বাদ থেকে গেল কি না, তা নিয়ে মাঝেমধ্যেই ধন্দে পড়তে হয়। সম্প্রতি বাজারে এসেছে সরু বাঁশের নল আকৃতির অ্যাপাসার ব্র্যান্ডের একটি পেনড্রাইভ। হালকা-পাতলা হ্যান্ডিস্টেনো এএইচ১৩৭ মডেলের এই পেনড্রাইভের তথ্য ধারণক্ষমতা ৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত।
 
ইউএসবি ৩ প্রযুক্তির পেনড্রাইভটি ১১ দশমিক ৩ মিলিমিটার লম্বা। ছয় গ্রাম ওজনের অ্যাপাসার হ্যান্ডিস্টেনো এএইচ১৩৭ পেনড্রাইভটি উইন্ডোজ ৮, উইন্ডোজ ৭, এক্সপি, ভিসতা, লিনাক্স, ম্যাক ১০.৪ ও এর পরবর্তী সংস্করণের অপারেটিং সিস্টেম সমর্থন করে।
প্রোডাক্ট লাইফটাইম ওয়ারেন্টিতে কম্পিউটার সোর্সের বাজারে আনা অ্যাপাসার হ্যান্ডিস্টেনো এএইচ১৩৭ মডেলের ৮জিবি ধারণক্ষমতার পেনড্রাইভের দাম ৬০০, ১৬ জিবি ৯৫০ ও ৩২ জিবির দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা।

১০০ ডলারে কম্পিউটার!



ডেল ইউএসবি কম্পিউটার ডেল ইউএসবি কম্পিউটার

শিগগিরই ইউএসবিসদৃশ একটি কম্পিউটার বাজারে আনছে ডেল। পণ্যটি টেলিভিশন বা মনিটরে যুক্ত করে কম্পিউটার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
 
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত সিইএস মেলায় ইউএসবিসদৃশ একটি কম্পিউটার দেখিয়েছিল কম্পিউটার নির্মাতা ডেল। ইউএসবিটি যেকোনো মনিটর বা টিভিতে যুক্ত করে তা কম্পিউটার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলেই জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। ডেল এ প্রকল্পটির নাম দিয়েছিল ‘ওফেলিয়া’।
 
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট এনগ্যাজেটের সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডেলের ওফেলিয়া প্রকল্পে তৈরি ইউএসবি কম্পিউটারটি জুলাই মাসনাগাদ বাজারে আসবে। এ ডিভাইসটি মাত্র ১০০ ডলারে কেনার সুবিধা দেবে ডেল।
 
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর এ কম্পিউটারটিতে ব্লুটুথ, ওয়াই-ফাই ও ক্লাউড সেবাও পাওয়া যাবে। তবে ইউএসবিসদৃশ এ পণ্যটির প্রসেসর ও র্যাম সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি ডেল।

প্রযুক্তির চমক, গুগল চশমা! (Google Glass)

আমার আজকের টিউনের বিষয় গুগল গ্লাস এর উপর প্রতিবেদন। Main
প্রজেক্ট গ্লাস একটি রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম যা গুগল দ্বারা নির্মিত হেড-মাউন্টেড ডিসপ্লে (এইচএমডি) যা গুগল গ্লাস নামে পরিচিত। গুগল গ্লাস স্মার্টফোনের মতো হ্যান্ডস-ফ্রি তথ্য ডিসপ্লে করে এবং প্রাকৃতিক ভয়েস এর সাহায্যে ইন্টারনেট এ প্রবেশ করতে পারে এবং ব্রাউজ করতে পারে। আইওয়্যার টি স্টিভ ম্যান এর আইট্যাপ এর মতই। গুগল গ্লাসে ব্যবহার করা হয়েছে গুগল এর এ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম।
প্রজেক্ট গ্লাস গুগল এক্স ল্যাব এর দ্বারা নির্মিত। গুগল এক্স ল্যাব মূলত ভবিষ্যৎ টেকনোলজি নিয়ে গবেষণা করে (যেমন ড্রাইভার বিহীন গাড়ি)।



গুগল গ্লাস
LO
নির্মাতা:
গুগল
ধরণ:
আগমেন্টেড রিয়েলেটি,
হেড-মাউন্টেড ডিসপ্লে
মুক্তি পাবে:
আমেরিকায় (নিমার্তাদের) ২০১৩ সালে শুরুর দিকে,
সবার জন্য ২০১৩ সালের শেষের দিকে
দাম:
নিমার্তা ভার্সন ১৫০০ মার্কিন ডলার,
সবার জন্য ১৫০০ মার্কিন ডলার এর নিচে (এখনো জানানো হয় নি)
ফিচার:
Feature
Voice activation text
Record video ok glass, record a video
Take picture
ok glass, take a picture
Start Google+ hangout ok glass, hang out with [person/circle]
Search
ok glass, google [search query]
Search photos ok glass, google photos of [search query]
Translate ok glass, google say [text] in [language]
Give directions ok glass, give directions to [search query]
Use Google Now ok glass, [question][35]
Send message unknown
Give flight details
unknown

গুগল গ্লাস! এটি অনেকের কাছে অনেক ধরণের মনে হতে পারে। যেমনটি আমার কাছে মনে হয় ড্রাগন বল কার্টুন সিরিজের এই গ্যাজেট এর মত! (লুল)
FAAA
আবার অনেকের কাছে এই হেডওয়্যারটি ফিউচারিস্টিক “নেক্সট স্টেপ” পারসোনাল কম্পিউটিং এ। আবার আমার আব্বার মতে, তোমার মুখে কম্পিউটার পরবে! ভালই তো! তবে তুমি কি পাবলিক এ এটি পরতে পারবে!!!

তবে যাই হোক, গুগল গ্লাস কমিউনিকেশন এর পথে নতুন একটি গতি তৈরি করবে। যদিও ১৫০০ ডলার খরচ করে হাই-ফাই পিসি কেনা যায়! (লুল এগেইন!)

গুগল গ্লাস! এইটা আবার কি!??
সাধারণত, আপনার গ্লাস কি এটা বুঝেন। আপনার চশমা, আপনার স্মার্টফোন এবং আপনার পিসি অথবা ল্যাপটপ, এই তিনটি জিনিসকে একত্র করুন এবং আপনি পেয়ে যাবেন গুগল গ্লাস! গ্লাসে রয়েছে এ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম যা ডান চোখে সেট করা। যার দ্বারা গুগল ম্যাপ, ভিডিও চ্যাট এবং ভয়েস কমান্ড ফিচার ব্যবহার করা যাবে। এছাড়াও ৭২০পি এর ক্যামেরা ডিভাইসটির সামনে সেট করা হয়েছে। যার দ্বারা ছবি তুলতে পারবেন শুধুমাত্র একটি মুখের আদেশ দিয়ে। আরো রয়েছে বিল্ট-ইন ওয়াই-ফাই।
dsfdf
গুগল গ্লাস এর প্লাস্টিক এর রং হবে ধূসর, কমলা, কালো, সাদা এবং উজ্জ্বল নীল। গুগল গ্লাস এর “এক্সপ্লোরার” এডিশনে থাকবে সানগ্লাস এর ছোঁয়া!


আমরা কেন ১৫০০ ডলার খরচ করে গুগল গ্লাস কিনবো?
উত্তরটা সহজ, আবার জটিল। আরে ভাই নতুন প্রযুক্তির জিনিস। আগ্রহ তো থাকবেই। সাধারণত, গুগল গ্লাস একটি হ্যান্ডস-ফ্রি নতুন যোগাযোগের পথ হবে। যার দ্বারা আপনার পছন্দের মানুষটির সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখতে পারবেন স্মার্টফোন হাতে না ধরেই!
এছাড়াও, এটির দ্বারা ফার্স্ট পারসন ভিউতে কোনো ডাক্তার তার জটিল জটিল অপারেশন করতে পারবেন ঘরে বসেই।
তবে চশমাটি পড়ে আপনাকে একটু অন্য রকম লাগবে। সবার কাছে চশমাটি সুইটাব্যাল নাও হতে পারে। গুগল গ্লাস হতে পারে পরবতী প্রজন্মের ব্লু-টুথ হেডসেট।

সর্বশেষ তথ্য মতে, গুগল এ বছরের (২০১৩) শেষের দিকে গ্লাসটির কনজিউমার ভার্সন বাজারে ছাড়তে পারে। যদিও অলরেডি গুগল গ্লাসটির ডেভেলপার ভার্সন বাজারে ছেড়েছে ১৫০০ মার্কিন ডলারে। ভাই একটা স্মার্টফোন এর দাম কত!!!???
FFD
গুগল গ্লাস হতে পারে পরবর্তী প্রজন্মের পরিধাণযোগ্য কম্পিউটার এর সূচনা। আবার এইরকম গেজেট অনেক বছর লাগবে পাবলিক ভাবে সেটেল হতে।

এপ্রিল ৫, ২০১২ সালে স্যান ফ্রান্সসিকোতে ফাউন্ডেশন ফাইটিং ব্লাইন্ডনেস ইভেন্টে গুগল গ্লাস সর্বপ্রথম দেখানো হয়। মে, ২০১২ সালে গ্লাসটির প্রথম টেস্ট ভিডিও দেখানো হয়। ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ তে গ্লাসটির ভয়েস কমান্ড ফিচার দেখানো হয়।
SC1
SC2
SC3
SC4
SC5
SC6

গ্লাসটির “এক্সপ্লোরার” ভার্সনে নতুন ফিচার হিসেবে থাকছে, ওয়াই-ফাই এবং ব্লু-টুথ এর মাধ্যমে থ্রিজি ও ফোরজি ডাটা আদান-প্রদান এর সুবিধা, আরো আছে বিল্ট-ইন চিপ। ভয়েস কমান্ড ব্যবহার করা যাবে “ওকে গ্লাস” দিয়ে। এছাড়াও ডুয়াল লেয়ারে থাকছে সহজে পরিবর্তনযোগ্য সানগ্লাস।


সর্বশেষে বলতে পারি, দামটি ছাড়াও গুগল গ্লাস পজিটিভ ভাবে টেকনোলজি জগতে সাড়া ফেলেছে। দেখা যাক শেষ মেষ দামটি কমে কিনা।

*****************************************************************************************