মঙ্গল অভিযানে যাচ্ছেন এক দম্পতি!

২০১৮ সালের ৫ জানুয়ারি মঙ্গল অভিযানে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এক দম্পতি। মার্কিন ধনকুবের ডেনিস টিটোর অর্থায়নে পরিচালিত হবে এই মঙ্গল মিশন। মঙ্গল গ্রহের এ অভিযানে এক দম্পতিকে বেছে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মহাকাশ অভিজ্ঞ ধনকুবের ডেনিস টিটো।

মার্কিন ধনকুবের ডেনিস টিটো ‘দ্য ইনসপিরেশন মার্স ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন। আর তাঁর এই প্রতিষ্ঠান থেকেই আনুমানিক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে কোনো দম্পতিকে মঙ্গলগ্রহে পাঠানো হবে। চলচ্চিত্রে দেখানো দৃশ্যের মতোই ছোটো একটি স্পেস ক্যাপসুলে দীর্ঘ দিন কাটাতে হবে মঙ্গল অভিযাত্রী দম্পতিকে।

দম্পতি কেনো?

ডেনিস টিটোর ভাষ্য, মঙ্গলের উদ্দেশ্যে প্রথমবার রওনা দেবে মানুষ। আর সেখানে নারী-পুরুষ দুজনের অংশগ্রহণ থাকা দরকার। তাই জরুরিভিত্তিতে বিবাহিত দম্পতির খোঁজ করা হচ্ছে। দীর্ঘদিনের নিঃসঙ্গ এ যাত্রাপথে একজন সঙ্গীর প্রয়োজন পড়বে। আবেগ আর সহানুভূতি থাকলে নিঃসঙ্গতার মানসিক সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবেন অভিযাত্রীরা। ১৪ কোটি মাইল পাড়ি দিয়ে মঙ্গলে পৌঁছালেও মঙ্গলের মাটিতে পা রাখার সৌভাগ্য তাঁদের হবে না। কারণ, মঙ্গলের মাটিতে নামবে না তাঁদের নভোযান। মঙ্গলের একশো মাইল কাছ থেকেই আবার পৃথিবীতে ফিরে আসতে হবে তাঁদের।

লক্ষ্য ২০১৮

ডেনিস টিটোর প্রতিষ্ঠানটির দাবি, আমরা ২০১৮ সালে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা হতে চাই কারণ, এ সুযোগ হাতছাড়া হলে আর তা নাও পাওয়া যেতে পারে। ১৯৯৬ সালের একটি গবেষণাপত্র অনুযায়ী ২০১৮ সাল মঙ্গল অভিযানের জন্য উপযুক্ত সময়। প্রতি ১৫ বছর অন্তর পৃথিবী থেকে এ গ্রহটিতে অভিযান চালানো সহজ হয়। তাই ২০১৮ সালের সুযোগ হাতছাড়া হলে ২০৩১ সাল পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে।

টিটো জানিয়েছেন, তিনি এ অভিযানে যাচ্ছেন না। এ অভিযানের জন্য মাঝবয়সী দক্ষ নভোচারী দম্পতিকে নির্বাচন করা হবে।

অভিযানের ঝুঁকি

অবশ্য এ অভিযানে ঝুঁকি রয়েছে প্রচুর। একবার নভোযান রওনা দিলে তা আর কোথাও থামবে না। টানা ৫০১ দিনের এ যাত্রা চলতেই থাকবে। কোনো ত্রুটি দেখা দিলেও গন্তব্যে না পৌঁছে ফিরে আসার উপায় নেই। প্রতি সেকেন্ডে নভোযানটি ১৪.২ কিলোমিটার গতিতে ছুটে যাবে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে।

মঙ্গল গ্রহের এ অভিযানের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন নভোযান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান প্যারাগনের কর্মকর্তা টাবির ম্যাককুলাম। তাঁর ভাষ্য, প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে এ যাত্রা সফল করা সম্ভব।

সম্ভাবনা

প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পাশাপাশি এ অভিযানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে, অভিযাত্রীরা কি ছোটো ক্যাপসুলে দীর্ঘদিন আটক থাকার ধকল সইতে পারবেন? এ প্রশ্নটির উত্তর দিয়েছেন, এ অভিযানের চিকিত্সক ও কর্মকর্তা জোনাথন ক্লার্ক। তাঁর মতে, অবশ্যই টিকে থাকতে সক্ষম হবেন অভিযাত্রীরা। এটা অনেকটাই নতুন প্রজন্মের জন্য অ্যাপোলো ৮ এর মতো মিশন। বিষয়টিতে নতুন প্রজন্মকে উত্সাহ দেওয়ার অনেক কিছু রয়েছে। অচেনা গভীর মহাকাশের পথের যাত্রীদের বাঁচিয়ে রাখা, সুস্থভাবে পৃথিবীতে ফেরত আনাটা উত্সাহ জোগাবে তাঁদের। নির্মম তেজস্ক্রিয়তা, অচেনা পথ, পরিবেশ, মহাকর্ষ টানহীন পরিস্থিতিতে টিকে থাকার অভিজ্ঞতা লাভ করা যাবে। এ জন্য নির্বাচিত নভোচারীদের মধ্যবয়সী হতে হবে। প্রয়োজনে তাঁদের জিনগত পরিবর্তন ঘটানো হবে যাতে তাঁরা এই সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারেন। তিন হাজার পাউন্ড শুকনা খাবার, রিসাইকেল করা পানির উত্স আর জীবনধারণের প্রয়োজনীয় উপাদান সঙ্গে নিয়েই মঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন নির্বাচিত দম্পতি।

টিটোর এ পরিকল্পনা সফল হলে, মঙ্গল গ্রহের যাত্রাপথে এ নভোচারীদের করা টুইট পড়ার জন্যই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবে বিশ্ববাসী।


এবারে স্বচ্ছ কম্পিউটার!

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা এক ধরনের স্বচ্ছ কম্পিউটার তৈরি করেছেন যার এক পাশ থেকে অন্য পাশে দেখা যায় আবার কম্পিউটারে সাহায্যে ডিজিটাল পণ্যগুলোকে ছুঁয়ে দেখার অভিজ্ঞতাও পাওয়া যায়। খবর বিবিসি অনলাইনের।

মাইক্রোসফটের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠান স্পেসটপ থ্রিডি স্বচ্ছ কম্পিউটারটি তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অনুষ্ঠিত টেড ২০১৩ সম্মেলনে এ কম্পিউটার দেখানো হয়েছে।

স্পেসটপ থ্রিডির গবেষকেরা জানিয়েছেন, মানুষ যেভাবে কঠিন বস্তু ছুঁয়ে দেখে বা অনুভব করতে পারে এ কম্পিউটারের ভারচুয়াল পণগুলোর ক্ষেত্রেও একই রকম অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। এর ফলে কম্পিউটারের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ ও ঘনিষ্ঠতা বাড়বে।

বিল্ট-ইন ক্যামেরাযুক্ত স্বচ্ছ এলইডি ডিসপ্লের এ কম্পিউটার ব্যবহারকারীর অঙ্গভঙ্গি ও চোখের ইশারা শনাক্ত করতে সক্ষম।

এক দশকের মধ্যেই এ ধরনের কম্পিউটার সহজলভ্য হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা।


মোবাইল ফোনে ‘ফটোশপ’

অ্যান্ড্রয়েড-নির্ভর স্মার্টফোন ও আইফোনে ব্যবহার করা যাবে ফটোশপ সফটওয়্যার। ট্যাবলেটের পর এবারে টাচস্ক্রিন সুবিধার স্মার্টফোনে ফটোশপ ব্যবহার করার সুবিধা যুক্ত করছে অ্যাডোবি।

অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর স্মার্টফোনে ব্যবহূত ফটোশপের নতুন এ সংস্করণটির নাম হবে ‘ফটোশপ টাচ’।এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি।

স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন আকারে ডাউনলোড করা যাবে ফটোশপ টাচ। স্মার্টফোনের মেমোরিতে স্বল্প জায়গা দখল করবে ফটোশপের নতুন এই সংস্করণ। স্মার্টফোনের ফটোশপ টাচ অ্যাপ্লিকেশনটিতে ট্যাবলেট ও ডেস্কটপ সফটওয়্যারটির মতো ‘লেয়ার’, ‘সিলেকশন টুল’, ‘অ্যাডজাস্টমেন্টস’, ‘ফিল্টার’সহ নানা ফিচার থাকবে। এ ছাড়াও এ অ্যাপ্লিকেশনটি ক্লাউড প্রযুক্তি সমর্থন করবে।

প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোনে ফটোশপ টাচ ব্যবহূত হলেও উইন্ডোজ ফোনে কবে নাগাদ আসবে তা এখনও ঠিক করেনি অ্যাডোবি কর্তৃপক্ষ।

ফটোশপের স্মার্টফোন সংস্করণে ইউজার ইন্টারফেসে পরিবর্তন এনেছে অ্যাডোবি। স্মার্টফোনের অ্যাপ্লিকেশন আকারে ফটোশপ সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে অর্থ খরচ করতে হবে।


শিশুদের প্রোগ্রামিং শেখানোর আহ্বান

মাইক্রোসফটের চেয়ারম্যান বিল গেটস, সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ, টুইটারের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডোর্সে, ড্রপবক্সের প্রতিষ্ঠাতা ড্রিউ হিউস্টন এবার আহ্বান জানালেন বিদ্যালয় পর্যায়ে প্রোগ্রামিং শিক্ষাকার্যক্রম চালু করার। কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেওয়ার বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া কোড ডট অর্গের (www.code.org আয়োজনে এক ভিডিও বার্তায় বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রোগ্রামিং শেখার বিষয়টি ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্বসেরা বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধানেরা।

‘হোয়াট মোস্ট স্কুল ডোন্ট টিচ’ শীর্ষক এ ভিডিওতে প্রযুক্তি দুনিয়ার সেরা ব্যক্তিদের পাশাপাশি কথা বলেছেন ফেসবুকের প্রথম মহিলা প্রকৌশলী রুচি সাংভিও। ভিডিওতে সবাই বিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং শেখানোর প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তবে শুধু তথ্যপ্রযুক্তি জগতের মানুষই নন, মিয়ামি হেট বাস্কেটবল দলের সদস্য ক্রিস বোসও বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং শেখানোর কথা বলেছেন।

ফেসবুক, ড্রপবক্সের একসময়ের বিনিয়োগকারী হ্যাডি পার্টভি শুরু করেছেন কোড ডট অর্গের নামের এ উদ্যোগটি। মূলত প্রোগ্রামিংকে জনপ্রিয় করতে এবং ধীরে ধীরে মেধাবী প্রোগ্রামার কমতে থাকায় এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান তিনি। এ ছাড়া অনেক বিদ্যালয়ে প্রোগ্রামিং বিষয়ে পড়ানোই হয় না, এমনকি বলাও হয় না! কোর্ড ডট অর্গের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। এতে আগ্রহী ব্যক্তিরা নিবন্ধন করে নিজেও এ উদ্যোগকে সমর্থন জানাতে পারবেন।

মোবাইল ফোনে ব্রেন ক্যান্সারের ঝুঁকি


মোবাইল ফোনে ব্রেন ক্যান্সারের ঝুঁকিক্যান্সারের কোষ কী কারণে এতো শক্তিধর তা এখনো রহস্যই রয়ে গেছে। হাজার হাজার বছর ধরে বিকাশমান চিকিৎসা সাহিত্যে এসম্পর্কে কোনো উল্লেখই ছিল না। কারণ আমরা তা দেখতে পেতাম না, শনাক্ত করতেও পারতাম না। অথচ এগুলো আমাদের শরীরের সুস্থ কোষের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহ করে বসে। এমনকি চিকিৎসকরা কিছু ক্যান্সারের প্রকৃতি জানতে পারলেও (এতে মৃত্যুহারও কমে যায়) এর আবশ্যকীয় রহস্যের সমাধান এখনো হয়নি।
ব্রেন টিউমারের কারণ কী তা এখনো জানা যায়নি। ফুসফুসসহ অন্য সব ধরনের ক্যান্সার জীবনযাপন ও পরিবেশগত নানা বিচ্যুতির কারণে হয় বলে জানা গেছে। তবে ব্রেন ক্যান্সারের কোনো ব্যাখ্যা এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। কেন একজন ব্যক্তিকে ব্রেন টিউমার আঘাত হানে, আর আরেকজন বেঁচে যায় তার কোনো ব্যাখ্যাই নেই। আপনি অভাগা হলে এই ‘রোগ সম্রাট’ আপনাকে কোনো কারণ ছাড়াই আঘাত করবে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত লেখক ও চিকিৎসক সিদ্ধার্থ মুখার্জী ক্যান্সারকে ‘রোগ সম্রাট’ নামেই অভিহিত করেছেন।
চলমান উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা থেকে জানা যায়, কেন মোবাইল ফোনের বিকিরিত রশ্মি ও ব্রেন টিউমারের মধ্যকার সম্পর্ক মুষ্টিমেয় বিজ্ঞানী, মানবাধিকার কর্মী ও আক্রান্ত ব্যক্তি– সবার কাছে আলোচনার বিষয়। বেশিরভাগ ক্যান্সারবিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসা-সংগঠন এটাকে একইসঙ্গে ‘খোলা ও বদ্ধ আলোচনার বিষয়’ বলে  বিবেচনা করে। যদিও তাদের বিবেচনায় মোবাইল ফোন বাদ রাখা হয়েছে।
বিকিরণকে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার (কার্সিনোজেনিক) কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যদি তা পরমাণু ও অণুকে আয়নিত করার মতো শক্তিধর হয়। পরমাণু ক্ষয় ও রঞ্জন রশ্মির বিকিরণ অত্যন্ত বেশি মাত্রায় অণু-পরমাণুকে আয়নিত করতে পারে। এগুলো ক্যান্সার সৃষ্টিকারী প্রভাবক বা কার্সিনোজেন হিসেবেও পরিচিত। এগুলো একটি অণুকে বিভিন্ন অংশে ভেঙে ফেলে। এতে কোষের জিনগত ক্ষতিসাধন  করে, ফলে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। মোবাইল ফোন আয়নায়ন ঘটাতে পারে না, ফলে এতে ক্ষতির সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় যোগাযোগ কমিশন (এফসিসি), ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট, খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) ও অসংখ্য সংস্থা একযোগে স্বীকার করেছে, মোবাইল ফোন নিরাপদ। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার (ডব্লিউএইচও) ওয়েবসাইটেও বলা আছে, ‘মোবাইল ফোন ব্যবহারে এ পর্যন্ত কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।‘
গত মে মাসের শেষ দিকে, আন্তর্জাতিক ক্যান্সার গবেষণা সংস্থার (আইএআরসি) ৩১ জন বিজ্ঞানী মোবাইল ফোনের  বিকীরণ ও ক্যান্সার বিষয়ে  সপ্তাহদীর্ঘ এক সমীক্ষা পরিচালনা করেন। আইএআরসি সিদ্ধান্ত টানে, মানবদেহে সম্ভাব্য ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম কারণ মোবাইল ফোনের বিকীরণ।
আইএআরসির চেয়ারম্যান ড. জোনাথন স্যামেট জানান, তারবিহীন ফোন ব্যবহার করলে গ্লিওমা ও ব্রেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি হয়।
মোবাইল ফোন শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো এতে দ্বিমত পোষণ করেছে। মোবাইল ফোন সংস্থা সিটিআইএর জনসম্পর্ক বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জন ওয়ালস বলেন, ‘আইএআরসির এই গবেষণার অর্থ এই নয় যে, সব মোবাইল ফোনেই ক্যান্সার হয়।’
তিনি এফসিসি ও এফডিএর উল্লেখ করে মোবাইল ফোন ব্যবহারে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ধারণা নাকচ করে দেন। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, বিশ্বজুড়ে ৩০০ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। গত দুই দশকে এরকম কোনো নজির দেখা যায়নি।
আইএআরসির গবেষণাটির ফল আগামী ১ জুলাই প্রকাশিত হবে। এর আগে ঠিক জানা যাচ্ছে না, ঠিক কোন যুক্তিতে বিজ্ঞানীরা এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হলেন।
স্যামেট বলেন, ‘বিশ্বের বহু মানুষ এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। আর ব্যবহার বেড়ে যাওয়ার ফলে আমরা ধরে নিতে পারি, আরও বেশি মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে ফোন ব্যবহার করছেন।’
(বিদেশি সংবাদসূত্র অবলম্বনে)

জিমেইল হ্যাকিং কবলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিভাগ


জিমেইল হ্যাকিং কবলে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা বিভাগজিমেইল অ্যাকাউন্টে বড় ধরনের হ্যাকিং ঘটনা ঘটেছে। এরই মধ্যে এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিভাগ অবস্থা গ্রহণ করেছে। সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
একটি সুনির্দিষ্ট সোর্সকোড ব্যবহার করে চীনের এক হ্যাকার জিমেইল অ্যাকাউন্টে এ হ্যাকিং করেছে।
হ্যাকিংয়ের মূখ্য লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কয়েক হাজার শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তির জিমেইল অ্যাকাউন্ট।
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি মুখপাত্র এবং চীনের সাংবাদিকরা একটি হ্যাকিং ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে।
এ নিয়ে ইন্টারনেট নিরাপত্তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো অন্য সব ইমেইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরই গুগল চীনের হ্যাকারদের মাধ্যমে কয়েক দফা হ্যাকের সম্মুখীন হয়। তবে গুগল প্রতিবারই পরিস্থিতি সামলে উঠেছে।
এবারও তার ব্যক্তিক্রম হবে না বলে গুগল সূত্র জানিয়েছে। তবে এ হ্যাকিং ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু স্পর্শকাতর তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে গেছে বলে ইমেইল বিশেষজ্ঞরা অনুমান করছেন। তবে পরিস্থিতি কতটা নাজুক এ বিষয়ে গুগল কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।

জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে কাগুজে পত্রিকা


জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে কাগুজে পত্রিকা২০২১ সালে কেউ আর কাগুজে পত্রিকা পড়বে না – ‘তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে এমনটাই মন্তব্য করেছেন মোস্তাফা জব্বার। এ অভ্যাস পরিবর্তনের কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, কাগজের হরফ এবং চিত্রায়ন ভবিষ্যতে পাঠকের কাছে আর গ্রহণযোগ্যতা হারাবে। সবচেয়ে বড় বিষয় মানুষ এখন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিতে চায়। কথা বলতে চায়। এ ধরনের প্রতিক্রিয় শুধু অনলাইন সংবাদমাধ্যমেই প্রকাশযোগ্য।
‘তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাব’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, পুরো ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের শতকরা ১০ ভাগ দেশে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর বাকি ৯০ ভাগই এখনও অব্যবহৃত রয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ইন্টারনেট ভোক্তাদের কাছ থেকে ঠিকই শতভাগের টাকা নিচ্ছে সরকার। এ মুহূর্তে প্রযোজ্য শতকরা ১৫ ভাগ ভ্যাটের বিষয়েও তিনি আপত্তি জানান।
এছাড়া বাংলাদেশে শক্ত কোনো সাইবার ক্রাইম আইন নেই। তাই ফেসবুকে কোনো ব্যক্তি যদি কাউকে আপত্তিকর কথা বলে তাহলে তার বিচার কী হবে এ বিষয়ে সুষ্ঠ কোনো নির্দেশনা নেই বলেও সেমিনারে আলোচনা হয়। এমনকি বাংলাদেশে সবগুলো অনলাইন পত্রিকাকে কীভাবে আইনের আনা যায় এ বিষয়েও সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা নেই। তাই এ সংবাদমাধ্যমে আইনের প্রয়োজন।

ইন্টারনেটভিত্তিক আউটসোর্সিংয়ে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সরাসরি অ্যাকাউন্টে!


ইন্টারনেটভিত্তিক আউটসোর্সিংয়ে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সরাসরি অ্যাকাউন্টে!বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার নম্বর ৬ এর এক সিদ্ধান্তে জানান হয়েছে যে, নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোনো ব্যক্তির ইন্টারনেটভিত্তিক আউটসোর্সিংয়ে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা সরাসরি তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে। এ বিষয়ে সরকারি নীতিগত আর বাধা নেই। বৈদেশিক মুদ্রা নীতি দপ্তরও এ বিষয়ে সম্পত্তি জ্ঞাপন করেছে। বিবি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশের সফওয়্যার খাতের শীর্ষ সংগঠন বেসিস। সময়োপযোগী এ নীতির মাধ্যমে দেশের হাজারও তরুণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সরকারি স্বীকৃতি অর্জন করল।
সরকারের এ সিদ্ধান্ত দেশের জাতীয় রপ্তানি খাতে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে বেসিস সূত্র মনে করে।

ইবুকের নীরব বিপ্লব


ইবুকের নীরব বিপ্লবইবুক নির্মাতা বুলমসবারি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে আবারও কাগুজে প্রকাশনাকে বাণিজ্যিক হিসাবে ছাড়িয়ে গেল ইবুক।
গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৪ মাসে ইবুক বিক্রির পরিমাণ ৪২ লাখ ইউরো ছাড়িয়ে গেছে। বিপণন ভিত্তিতে এ বৃদ্ধি ৭৯ হাজার ইউরো।
এ পরিসংখ্যান বলছে, ইউরোপজুড়ে কাগুজে বইয়ের বিক্রির তুলনায় ইবুকের কার্টতি এবং চাহিদা দুটোই বেশি। এ মুহূর্তে এ হিসাবকে আর উপেক্ষা করার সুযোগ নেই।
এরই মধ্যে ইউরোপের কাগুজে প্রকাশনী সংস্থাগুলো ইবুক বিক্রির এ পরিসংখ্যান নিয়ে বিপাকে পড়েছে।
বুলমসবারি প্রধান নির্বাহী নাইজেল নিউটন জানান, বিশ্বব্যাপী প্রকাশনা শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে। ক্রমেই ইলেকট্রনিক পাঠকের সংখ্যা এবং জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
নিউটন তার ভাষার সুস্পষ্টভাবে বলেন, ডিজিটাল সংস্কৃতির প্রতিটি মাধ্যমই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তার মধ্যে ইবুক আছে শীর্ষে। এর ফলে প্রকাশনা শিল্পের বাণিজ্যিক মডেলও পরিবর্তন হয়ে হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল প্রকাশনার ব্যাপক চাহিদাও তৈরি হয়েছে।
বুলমসবারি সূত্র মতে, বাণিজ্যিকভাবে ইবুক যাত্রার মাত্র ১৪ মাস সময়ে এ শিল্পে নীরব বিপ্লব ঘটে গেছে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৭১ লাখ ইউরো ঘরে তুলেছে ডিজিটাল প্রকাশনা মাধ্যমগুলো।
এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল প্রকাশনার শিল্পে বিক্রির পরিমাণ ১০ কোটি ইউরো ছাড়িয়ে গেছে। এ স্বল্প সময়ে প্রকাশনা শিল্পে ডিজিটাল মাধ্যম যে ইতিহাস গড়েছে তা এ শিল্পের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার কথাই বলছে বলে বিশ্বের প্রকাশনা সূত্রগুলো জানিয়েছে।
ইবুক বিক্রির এ পরিমাণ ক্রমেই বাড়বে বলে প্রকাশনা সংশ্লিষ্ট বাজার বিশ্লেষকরা অভিমত দিয়েছেন। ইবুক তার জনপ্রিয়তা আর পাঠক চাহিদা তৈরি করছে। ফলে কাগুজে আর ডিজিটাল প্রকাশনার ইঁদুর-বিড়াল লড়াইটা এবার বেশ উপভোগ্যেই হবে।

অভির ব্র্যান্ড নেম বদলে দিচ্ছে নকিয়া

নকিয়া তাদের মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন বিপণন ব্র্যান্ড ‘অভি’ নাম বদলে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে। এ বছরই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে নকিয়া সূত্র জানিয়েছে।
অ্যাপলের অ্যাপ্লিকেশন স্টোর এবং আইটিউনস এর আদলে নকিয়া তাদের মোবাইলনির্ভর অ্যাপ্লিকেশনগুলো বিপণনে অভি ব্র্যান্ড নিয়ে ভক্তদের সামনে হাজির হয়।
এ বছরের হিসাব মতে অভির মাধ্যমে প্রতিদিন ৫০ লাখ অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করা হচ্ছে। তবে অভি ব্র্যান্ডের মাধ্যমে নকিয়া খুব বেশি আলোচনায় না আসতে পারায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিশ্লেষক সূত্র জানিয়েছে।
নকিয়া অভির ব্লগ সম্পাদক পিনো বোনেটি জানান, অভির শুধু ব্র্যান্ড নেম পরিবর্তন হচ্ছে। তবে সেবাগুলো আগের মতোই অব্যাহত থাকবে। এ কারণে অভির ভক্ত এবং শ্রোতাদের এ সেবা পেতে তেমন কোনো ঝামেলা পোহাতে হবে না।

ট্যাবলেট পিসির চিপ আনছে ইন্টেল

ইন্টেল তার ভক্তদের জন্য অনুষ্ঠিতব্য কমপিউটেক্স প্রদর্শনীতে ১০টি ইন্টেলযুক্ত ট্যাবলেট পিসি অবমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী ৩১ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত তাইপে শহরে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।

ইন্টেল এশিয়া-প্যাসেফিক অঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক নেভিন শিওনি জানান, এ বছরই ইন্টেলযুক্ত অন্তত ৩৫টি ট্যাবলেট পিসি বাজারে আসার কথা আছে।
উল্লেখ্য, জাপানের ভূমিকম্প এবং সুনামির কোনো বিরুপ প্রভাব ইন্টেলের এ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় প্রভাব ফেলবে না বলে কেভিন জানান।

গত এপ্রিলে ইন্টেল প্রধান পল অটলিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, এ বছরই অ্যানড্রইড, মিগো এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম সমর্থনযোগ্য মাইক্রোচিপ উদ্ভাবন করবে। এরই মধ্যে এ উৎপাদনকৌশল অনেকটা পথ অতিক্রম করেছে।

এ মুহূর্তে ইন্টেল স্মার্টফোনের জন্য খুদে আকৃতির চিপ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। এর সঙ্গে ট্যাবলেট পিসির জন্যও চিপ উৎপাদনের কাজ চলছে সমতালে।
উল্লেখ্য, বাজারে আসা ট্যাবলেট পিসিগুলোতে এ মুহূর্তে আর্ম ডিজাইনের চিপ ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই স্মার্টফোনের পর ট্যাবলেট পিসির বাজার দখলে ইন্টেল এখন অনেকটাই মরিয়া হয়ে উঠেছে।

গুগলের নতুন চমক ক্রোমবুক

নিজস্ব ক্রোম অপারেটিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রিত যুগল নেটবুক প্রকাশ করেছে গুগল। নাম ক্রোমবুক। গুগল সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
ক্রোম অপারেটিং সিস্টেম নেটবুকগুলো ক্লাউড প্রযুক্তিনির্ভর। এর অর্থ কমপিউটারে প্রেরিত সব তথ্যই ভার্চুয়াল সার্ভারে সুরক্ষিত থাকবে। এটি লোকাল হার্ডডিস্কের তুলনায় অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
গুগলের ভাষ্যমতে, এ নেটবুক ব্যবহারকারীদের কাজ দ্রুতগতিসম্পন্ন করবে। কারণ তাদের সার্ভার যে কোনো নেটবুক প্রসেসরের তুলনায় সুরক্ষিত ডাটা দ্রুত কাজের যোগ্য করতে পারদর্শী।
নেটবুক ব্যবহারকারীরা ক্রোমবুকের ব্যবহার শুরু মাত্রই এর অপারেটিং সিস্টেম স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালনাগাদ হবে। উল্লেখ্য, গুগল আনবে বুটিং টাইম চমক। মাত্র ৮ সেকেন্ডে এটি পুরো অপারেটিং সিস্টেম বুট করে নেটবুক কাজের জন্য প্রস্তুত হবে।
গুগলের সহপ্রতিষ্ঠাতা সার্জে ব্রিন জানান, কমপিউটার ব্যবহারের সার্বিক জটিলতা ব্যবহারকারীদের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়। এর মূল কারণ কৌশলগত ক্রুটি।
এক্ষেত্রে ক্রোমবুক এমন একটি মডেল যা সুপরিকল্পিতভাবে তৈরি। এখানে জটিলতা ছাড়াই ব্যবহারকারীরা ইচ্ছামতো কাজের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
এছাড়া ক্রোমবুকের অফিসিয়াল পৃষ্ঠায় অ্যান্টিভাইরাসের ব্যবহার সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট নিদের্শনা দেওয়া আছে। গুগল সূত্র জানিয়েছে, অত্যাধুনিক সংস্করণের অপারেটিং সিস্টেম নিয়ন্ত্রিত ‘ক্রোমবুক’ ব্যবহারকারীদের ঝামেলা অনেকটা প্রশমিত হবে।